টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ।গত মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) থানা পুলিশের একটি দল তাদেরকে আটক করে।
চাঁদাবাজির দায়ে আটক হওয়া তিন জন অসাধু ব্যক্তিরা হলেন, হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা পাড়ার বাসিন্দা আবু বক্করের ছেলে ফরিদ আলম (২৫), মৃত হামিদ আলীর ছেলে আব্দু শুক্কুর (৪০) এবং আলী হোছনের ছেলে চৌকিদার মোঃ আলম (৩০)।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
অপরদিকে হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালী পাড়ার বাসিন্দা মাইক্রোবাস চালক নুরুল আমিনের কাছ থেকে উকিল পরিচয়ে হেলাল উদ্দীন (৫৮) নামে এক ব্যক্তি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।হেলাল উদ্দীন একই ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী পাড়ার বাসিন্দা মৃত গফুর মিয়ার ছেলে।গত মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) চাঁদা আদায়ের অভিযোগে থানায় এজাহার দায়ের করেন ভুক্তভোগী নুরুল আমিনের স্ত্রী ছালেহা বেগম।তার স্বামী নুরুল আমিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে হেলাল উদ্দীন চাঁদা আদায় করেন বলে জানান ছালেহা বেগম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে টেকনাফকে মাদক মুক্ত করার জন্য পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু চক্র ওসির নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে আসছে।সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তিনজন অসাধু চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে।পরে তাদের তিনজনকে ব্যাপক জিজ্ঞাবাদে ওসির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায়ের সত্যতা স্বীকার করে।চাঁদা না দিলে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে, এমন ভয় দেখিয়ে কারও কাছ থেকে পাঁচ হাজার, আবার কারও কাছ থেকে দশ হাজার, বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছেন অসাধু এই তিনজনেই।সাধারণ ব্যক্তিদেরও ভয় দেখিয়ে তারা চাঁদা আদায় করেছেন বলে জানান পুলিশ।
প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, আমার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে তিনজন অসাধু চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে।সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।যাতে ভবিষ্যতে কেউ পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করতে সাহস না পাই।আগামী ১৬ই ডিসেম্বরের মধ্যে টেকনাফ থেকে মাদক নির্মূল করতে স্থানীয় সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।পাশাপাশি যারা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা দাবি করবে তাদেরকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার জন্য অনুরোধ করেন।
এছাড়া চাঁদা আদায়ের অভিযোগে থানায় এজাহার দায়ের করা ভুক্তভোগী ছালেহা বেগমের বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন।তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।